কালিহাতি উপজেলার কৃতি সন্তান সাহিত্যিক ডঃ আশরাফ সিদ্দিকীর লিখিত অভিমত অনুসারে কীল্লা-ই-হাতী শব্দটির অপভ্রংশ কালিহাতী। কালিহাতিসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহ পাঠান শাসন আমলে থাকাকালে ঝিনাই নদী প্রকাশ ফটিকজানী নদীর তীরে অবস্থিত পুরাতন থানার স্থানে একটি সেনা ছাউনী বসানো হয়। সৈন্যদের ব্যবহারের জন্য ছিল অশ্ব এবং হাতী। তাই হাতীর কীল্লা বা কীল্লা-ই-হাতী নামে এ সেনা ছাউনী পরিচিতি লাভ করে। এ শব্দই কালক্রমে এ স্থানটির নামরূপে কালিহাতীতে পরিনত হয়। অন্য একটি অভিমত কালিহাতী সদর বাসী প্রাক্তন বোদ্ধা ব্যক্তিগণের। তাঁরা বলেন কালিহাতী সদরে অবস্থিত বর্তমান বৃহৎ কালী মন্দিরটি পার্শ্ববর্তী নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। সংলগ্ন বর্তমান সাপ্তাহিক বৃহৎ হামিদপুর হাটটি শতাধিক বর্ষপূর্বে কালীর হাট নামে পরিচিত ছিল। ঐ সূত্রে স্থানটির নাম লোকমুখে হয় কালিহাটী। অবশেষে কালিহাটী রূপান্তরিত হয় কালিহাতীতে যা বর্তমানে কালিহাতি বানানে লিখা হয়। প্রশাসনিকভাবে কালহাতি থানা গঠিত হয় ১৯২৮ সালে এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস